নিজস্ব প্রতিবেদক, জকিগঞ্জ টুডে:: জকিগঞ্জে ভোট জালিয়াতির দায়ে গ্রেফতারকৃত দুই রির্টানিং কর্মকর্তা শাদমান সাকীব ও আরিফুল হককে কাল সোমবার আদালতে হাজির করবে কারা কর্তৃপক্ষ। শাদমান সাকীব ও আরিফুল হকের পাঁচদিন করে রিমান্ড চেয়েছে পুলিশ। জকিগঞ্জ সিনিয়র জুডিসিয়্যাল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের নির্ধারিত তারিখ অনুযায়ী সোমবার (১৭ জানুয়ারী) আসামিদের উপস্থিতিতে আদালতে রিমান্ড শুনানি করা হবে। আদালতের একটি সূত্র জানিয়েছে, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জকিগঞ্জ থানার ওসি তদন্ত সুমন চন্দ্র পাঁচদিন করে রিমান্ড চেয়েছেন আদালতের কাছে। আসামীদের উপস্থিতিতে রিমান্ড শুনানি শেষে আদালত সিদ্ধান্ত দেবেন।
প্রসঙ্গত, গত ৫ জানুয়ারী পঞ্চম ধাপের ইউপি ভোটের দিন বিকেল ৩টা ৪০ মিনিটের সময় জকিগঞ্জের মরিচা ভোট কেন্দ্রের সামনে থেকে চেয়ারম্যান ও সদস্য প্রার্থীর সিল দেয়া ও খালি ব্যালট পেপার মোট ১২শ, মুড়ি বই ৮টি, ব্যালেট বাক্সের সিলগালা লক ৮টি, নগদ টাকা ১ লাখ সাড়ে ২১ হাজার, ফেন্সিডিলের খালি বোতল, কালো রঙের ঢাকা মেট্রো-ঠ ১৩-৭০২৮ গাড়ীসহ রির্টানিং কর্মকর্তা শাদমান সাকীব ও আরিফুল হক ধরা পড়েন সিলেটের জেলা প্রশাসক (ডিসি) এম কাজী এমদাদুল ইসলাম, পুলিশ সুপার (এসপি) ফরিদ উদ্দিন পিপিএম ও জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা মো. শুক্কুর মাহমুদ মিয়ার হাতে। তাৎক্ষণিক কাজলসার ইউপি ভোট গ্রহণ স্থগিত করা হয়।
এ ঘটনায় দুই রির্টানিং কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মরিচা ভোট কেন্দ্রের ইনচার্জ জৈন্তা থানার এ এসআই আব্দুল হাকিম বাদী হয়ে স্থানীয় সরকার আইনে জকিগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। গ্রেফতারকৃত শাদমান সাকীব (৩২) উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও আরিফুল হক (৩৬) উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা। নির্বাচনে তারা দুজন রির্টানিং কর্মকর্তার দায়িত্বে ছিলেন। ৬ জানুয়ারী রির্টানিং কর্মকর্তা শাদমান সাকীবকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। তবে রির্টানিং কর্মকর্তা আরিফুল হক থানা হাজতে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে চিকিৎসার জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে শাদমান সাকীব কারাগারে ও আরিফুল হক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
অন্যদিকে সুলতানপুর ইউপির গণিপুর ভোটকেন্দ্রেও সীল মারা ব্যালেট পেপার বাক্সে ভরার ঘটনায় উত্তেজিত ভোটাররা ঐ কেন্দ্রের ব্যালেট বাক্স ছিনিয়ে নিয়ে পুকুরে ফেলে দেন। পরে গণিপুর কেন্দ্রের ভোটগ্রহণও স্থগিত করা হয়।
Leave a Reply